নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। এ ইস্যুটিকে আরও পরিষ্কার করতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সাথে আজ সোমবার বিকালে বৈঠকে বসছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান এম খায়রুল হোসেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আজ সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টায় অর্থমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জানা যায়, গত ৪ ডিসেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তহবিলের একটি রূপরেখা অর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।
প্রস্তাবনায় উল্লেখ রয়েছে, আলোচিত তহবিলের আকার ১০ হাজার কোটি টাকা। তহবিলের মেয়াদ হবে ৬ বছর। প্রস্তাবিত সুদের হার ৩ শতাংশ। প্রথম বছর কোন সুদ দিতে হবে না। দ্বিতীয় বছর সুদ দিতে হবে। এরপর ৩য় বছর থেকে সুদসহ মূল টাকা ৬ মাস পর পর ফেরত দিতে হবে। আর শুধু সেকেন্ডারি বাজারে বিনিয়োগের জন্য এই তহবিল থেকে ঋণ সুবিধা দেয়া হবে। আর এই সুবিধা ব্রোকারহাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংকসহ সব মধ্যবর্তী প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
প্রস্তাবনায় আরো উল্লেখ রয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক এক হাজার ২৪২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। শতকরা হিসাবে ২০.৮৭ শতাংশের বেশি সূচক কমে গেছে। আর বাজার মূলধন কমেছে ৬৫ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। নিম্নমুখী এই অবস্থায় গত আগস্ট পর্যন্ত মার্জিন ঋণে নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা। ক্রমাগত নিম্নমুখী অবস্থায় তারল্য সংকটের কারণে বাজারের স্টেকহোল্ডার স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংক সক্রিয় হতে পারছে না। এই অবস্থায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট সাপোর্ট ফান্ড ফর ক্যাপিটাল মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিজ’ নামে স্কিমের আওতায় ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড দ্রুত প্রয়োজন।
এসএমজে/২৪/এম এইচ