বিশ্ব অর্থনীতির উদ্বেগের মধ্যে সরকার দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করেছে। এই ইস্যুতে পুঁজিবাজারে নতুন উৎকণ্ঠা তৈরি করেছে। পাশাপাশি ডলারের বিপরীতে টাকার অব্যাহত দরপতন ইস্যুও যোগ হয়েছে। এই দুই ইস্যুতে পুঁজিবাজারে দরপতন আরও ভারি হয়েছে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এক যুগ যাবত পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট ক্রয়মূল্যে গণনার দাবি চলছিল। পুঁজিবাজারের সব পক্ষই বলছিল, এই দাবি পূরণ হলেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে। স্থিতিশীলতার পথে অগ্রসর হবে। কিন্তু দাবি পূরণের ঘোষণা আসার পরেও পুঁজিবাজার হাঁটছে উল্টো পথেই।
ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট ক্রয়মূল্যে গণনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্ত আসার পর টানা তিন কর্মদিবস যাবাত দরপতন চলছে পুঁজিবাজারে। এর মধ্যে রোববার ৮ পয়েন্ট, সোমবার ৪৫ পতনের পর মঙ্গলবার আশুরার ছুটি শেষে গতকাল বুধবার আরও ৭৮ পয়েন্ট পড়ল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স। অর্থাৎ তিন কার্যদিবসে ১৩১ পয়েন্ট হারাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান মূল্যসূচক।
অথচ প্রতিটি শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস দেয়ার পর এক্সপোজার লিমিট নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর আগের সপ্তাহে টানা পাঁচ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছিল ৩৩১ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে লেনদেনেও মিলেছিল ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু বর্তমানে খুবই হতাশার পথে হাঁটছে পুঁজিবাজার।