দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করছে একটি টাস্কফোর্স এবং ইতিমধ্যে শেয়ারবাজারে সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যদিও জুন পর্যন্ত সব সংস্কার শেষ হবে না, তবে কিছু সংস্কার কার্যক্রম বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করবে। সম্প্রতি এমন কথা বলেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম।
তার মতে, আমাদের শেয়ারবাজার অনেক সংকুচিত। গত ১৫ বছরে আমাদের বাজার পিছিয়েছে, যেখানে সব দেশের শেয়ারবাজার সামনে এগিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে, দেশের সকল স্টেকহোল্ডাররা শেয়ারবাজারকে এগিয়ে নিতে ইতিবাচকভাবে কাজ করছে।
কথা হচ্ছে, এমন ধরনের আশ্বাস আমরা আগে পেয়েছি। অনেকে অনেক আশার কথা শুনিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। তাদের কথায় বিভিন্ন সময় বাজারে সক্রিয় হয়েছেন লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। কিন্তু এতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। বুকভরা হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয়েছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের।
এর আগে অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ইসলামের মতো নীতি নির্ধারকরা বিনিয়োগকারীদের বড় বড় স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তাদের কথায় আস্থা রেখে যারা শেয়ারবাজারে এসেছেন, তারা সর্বশান্ত হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বিপরীতে শিবলী রুবাইয়াতরা বিনিয়োগকারীদের ভুলভাল বুঝিয়ে শেয়ারবাজার থেকে অঢেল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন।
আমরা বিশ্বাস করতে চাই, আগের নীতি নির্ধারকদের সঙ্গে বর্তমান নতুন বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকদের অবশ্যই আদর্শগত পার্থক্য রয়েছে। তারা শেয়ারবাজারের লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর কথা ভেবে সবকিছু করবেন।