পৃথিবী এখন প্রতিনিয়তই মানুষের নাগালে আসছে। এখন আর বিচ্ছিন্নভাবে চিন্তা করে কোনো দেশ বেশি দূর যেতে পারবে না। এখন বিশ্বায়নের যুগে পুরো বিশ্বকেই একটি গ্রাম মনে করা হয়। দিন যত যাচ্ছে, এমন ধারণা তত পোক্ত হচ্ছে। তাই আন্তর্জাতিক পুঁজিবাজারের পরিসরে আমাদের পুঁজিবাজার নিয়ে চিন্তা করা প্রয়োজন। চাইলেও আমরা এখন আর কুয়োর ব্যাঙের মতো চিন্তা নিয়ে অগ্রসর হতে পারবো না। গত দশ বছরে আর্ন্তাতিক পুঁজিবাজারগুলোয় প্রায় আড়াই গুণ সূচক বেড়েছে। লেনদেনও সেভাবে এগিয়েছে। আর আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে ঘটেছে উল্টো ঘটনা। আমরা পিছিয়ে গেছি।
গত ২০১০ সালের ধসের আগে আমাদের দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ছিল আট হাজার নয়শ’ পয়েন্টে। তাই বিশ্বের বাজারের সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের সূচক ১২ হাজার পয়েন্টে চিন্তা করতে হয়। এরপর আসে বাজার স্বাভাবিকতার প্রশ্ন। জাতীয় বাজেটসহ দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি আকার যদি বিবেচনায় নেওয়া হয়, তাতেও বিষয়টি পরিস্কার হয়। অর্থনীতির মধ্যে আমদানি-রপ্তানির ভারসাম্য অনেক জরুরি একটি বিষয়। সে দিকে নজর দিতে গেলে প্রথমেই আসে শিল্পায়নের বিষয়টি- যার প্রধান নিয়ামক হতে পারে দেশের পুঁজিবাজার। সেভাবে যদি চিন্তা করে পুঁজিবাজার উন্নত করা যায়, তাহলে সূচক এবং লেদেনের উন্নতি বেশি দূরের বিষয় নয়।