পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক অস্থিরতাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। এছাড়া ‘ধীরে চলো’ নীতিরও অবকাশ নেই। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
ইতিমধ্যে পুঁজিবাজার নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈঠকটি কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়েছে। এমনকি গত মঙ্গলবারের এ বৈঠক নিয়ে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো কথা বলেনি। যদিও অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ বৈঠককে ঘিরে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রত্যাশার সঙ্গে বাস্তবতা না মেলায় গতকাল বাজারে বড় পতন দেখা গেছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আজ এক দিনেই ৯৭ পয়েন্ট বা প্রায় দেড় শতাংশ কমে গেছে। তাতে দিন শেষে এ সূচক আবারও ৭ হাজার পয়েন্টের মাইলফলকের নিচে নেমে এসেছে। বৈঠকের দিনে ডিএসইএক্স সূচকটি ৭০ পয়েন্ট বেড়েছিল।
তাই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক ওই সিদ্ধান্তহীন বৈঠক থেকে কী বার্তা পেলো দেশের পুঁজিবাজার?
ওই বৈঠককে ঘিরে বেশ কয়েক দিন ধরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের প্রত্যাশা তৈরি হয়। বেশির ভাগ বিনিয়োগকারী মনে করেছিলেন, এ সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির শীর্ষ ব্যক্তিরা অংশ নেবেন এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত হতে পারে। কিন্তু বৈঠকে দুই সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন না। ফলে সভায় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এমনকি বৈঠক শেষে সাংবাদিকদেরও আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু জানাননি। ফলে বিনিয়োগকারীরা হতাশ হন। যার প্রতিফলন দেখা গেছে গতকালের বাজারে। এখন যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত।