সাধুবাদ বিএসইসি: পথেই যেন দম ফুরিয়ে না যায়

আধুনিক অর্থব্যবস্থায় পুঁজিবাজার অনতম স্তম্ভ। এটি দুনিয়াজুড়েই স্বীকৃত। আমাদের দেশে এই স্তম্ভটি আশানুরূপভাবে এখনও দাঁড়াতে পারেনি। অনিয়ম এবং সুশানের অভাবে পুঁজিবাজারের সংজ্ঞা হয়ে উঠছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীর কান্না। প্রায় দশ বছরের ব্যর্থতার ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজার এই অবস্থা দাঁড়িয়েছে।  বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের  আস্থা প্রায় শূন্য।

এমন বাস্তবতায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাম্প্রতিক এক সভায় কয়েকটি কোম্পানি, হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইস্যু ব্যবস্থাপককে জরিমানা করা হয়েছে। এ জরিমানার পরিমাণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানভেদে অপরাধ বিবেচনায় সর্বনিম্ন ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা। যেসব অপরাধে প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে এ জরিমানা করা হয়েছে, নিঃসন্দেহে তা শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিরই কারণ ছিল। ওই সভাটি ছিল নতুন কমিশনের চতুর্থ কমিশন সভা।

আমরা দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের সম্পাদকীয় স্তম্ভে বলে আসছি- নামমাত্র জরিমানা নয়, এতে অনিয়মকারীরা তোয়াক্কা করে না। যেমন অপরাধ তেমন মুগুর দেয়া হোক। অর্থাৎ জরিমানার অংক বড় করা হোক। সেই হিসেবে বিএসইসির ওই সিদ্ধান্তকে আমরা সাধুবাদ জানাই। পাশাপাশি আশা করবো কঠোরতার দম যেন পথেই ফুরিয়ে না যায়। এটি যেনে অব্যাহত থাকে গন্তব্য পর্যন্ত। কারণ আগের কমিশনও প্রথম দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতে কঠোর থাকলেও পরে সেটি দেখা যায়নি। বর্তমান নিয়ন্ত্রক সংস্থার নতুন নেতৃত্বের শুরুতে এমন পদক্ষেপে বাজার–সংশ্লিষ্টসহ বিনিয়োগকারীদের মনে কিছুটা হলেও আশার সঞ্চার করবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

Tagged