পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সাত ব্রোকারেজ হাউজের কার্যক্রম তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এমন খবর প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
সম্প্রতি সিকিউরিটিজ হাউজে অর্থ আত্মসাৎ কেলেঙ্কারির কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রায় সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীই বিভিন্ন সিকিউরিটিজ হাউজে বিনিয়োগ করা পুঁজির নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। আর এ কারণে সংশ্লিষ্ট হাউজে কোনো আইনের ব্যত্যয় হলেই বিএসইসির শরণাপন্ন হচ্ছেন তারা।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ৫ সিকিউরিটিজ হাউজ ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ২ সিকিউরিটিজ হাউজে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিএসইসি।
আমরা এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানাই। এর আগে থেকে আমরা লিখে আসছি, অভিযোগ ওঠা ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কার্যক্রম তদন্ত করা হোক। অবশেষে নিয়ন্ত্রক সংস্থার বিষয়টি আমলে নেওয়াটা খুবই ইতিবাচক। এতে ব্রোকারেজ হাউসগুলোর কার্যক্রমে কিছুটা হলেও স্বচ্ছতা আসবে। তবে কেবল দায়সারা ব্যবস্থা নিলে তেমন কিছই বদলাবে না। এর জন্য দরকার কার্যকর পদক্ষেপ।