দুনিয়াজুড়ে প্রতিনিয়ত নানান ধরনের ইস্যু সৃষ্টি হয়। এটি একটি স্বাভাবিক বিষয়। আধুনিক যুগে অনেক ধরনের ঘটনা ঘটবে এবং সেগুলোর তথ্য দ্রুত বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়বে। এতে আতঙ্কিত বা অতি উৎসাহী হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজারে দেখা যায় বিশ্বের যে কোনো স্থানে কোনো ইস্যু তৈরি হলেই সেটি এখানে গুজব হয়ে আসে। এসব ইস্যুর সঙ্গে দেশের অর্থনীতি কতটা যুক্ত, সেটি বোঝেন না অনেক বিনিয়োগকারী। আবার কতিপয় স্বার্থান্বেষী মহল এই সুযোগ লুফে নেয়। এতে বাজারে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়। সম্প্রতি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান নিয়েও এমন ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে দেশের পুঁজিবাজারে। এখন শ্রীলঙ্কার অবস্থা নিয়েও অনেক ধরনের গুজব ছাড়ানো হচ্ছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে। এতে কতিপয় চক্র লাভবান হলেও, সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
ঈদের পর প্রথম সপ্তাহের শুরুর দুই দিনে দেশের প্রধান পুঁজিবাজারের সূচক বেড়েছিল ৫৫ পয়েন্ট। আগের দিন সূচক কমেছিল ৩৩ পয়েন্ট। গতকাল কমেছে ৭৩ পয়েন্ট। দুই দিনে সূচক কমেছে ১০৬ পয়েন্ট। অর্থাৎ সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে সূচক যা বেড়েছিল, গত দুই দিনেই তার দ্বিগুণ গায়েব হয়ে গেছে।
গতকাল লেনদেন শুরুর সোয়া এক ঘণ্টা পর্যন্ত সূচক বেড়ে লেনদেন হতে থাকলেও এরপর তা টানা নিচে নামতে থাকে। সূচক পতনের সঙ্গে লেনদেনও কমেছে এবং কমেছে সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর।
বাজার সংশ্লিষ্টদের ধারণা, শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মনস্তাতত্ত্বিক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে পুঁজিবাজারে। শ্রীলঙ্কার মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও বিপাকে পড়বে বলে সামাজিক মাধ্যমে যেসব অপপ্রচার চলছে, তার প্রভাব পড়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।
আমরা মনে করি, এ ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। এই পরিস্থিতি থেকে পুঁজিবাজারকে বের করে আনতে হবে।