দেশের পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস দিয়ে দীর্ঘদিন কৃত্রিমভাবে ধরে রেখে যে ক্ষতি করা হয়েছে, তারই ফলাফল এখনকার এ দরপতন। ফ্লোর প্রাইস যে দীর্ঘ মেয়াদে বাজারের জন্য নানামুখী সংকট তৈরি করেছে, তা এখন পরিষ্কার হয়েছে। একদিকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এ বাজারের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন, অন্যদিকে দেশের বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। পাশাপাশি ব্যাংক খাতে নগদ টাকার যে সংকট রয়েছে, তাতে সেখান থেকে শেয়ারবাজারে খুব বেশি অর্থ আসার সুযোগ নেই। এসব কারণে বাজারে টানা দরপতন চলছে।
ফ্লোর প্রাইসের কারণে আমাদের বাজার নিয়ে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার চরম ঘাটতি তৈরি হয়েছে। এ ছাড়া বহুজাতিক কোম্পানিগুলো যে লভ্যাংশ ঘোষণা করছে, ডলার–সংকটের কারণে তার বড় অংশই তারা বিদেশি মালিকদের কাছে পাঠাতে পারছে না। আবার ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিদেশিরা কম মুনাফা পাচ্ছেন। এসব কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে। এমনটি মনে করছেন বিশেজ্ঞরা।
ব্যাংকে এখন আমানতের ওপর যে সুদ পাওয়া যাচ্ছে, তা শেয়ারবাজারের মূলধনি মুনাফার চেয়ে বেশি। তাই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে খুব বেশি আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
এসব কারণে বর্তমানে বাজারের এমন চিত্র বলে ধারণা করেছেন অনেকে। তবে পাশাপাশি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারলে বাজার যে কোনো সময় ঘুরে দাঁড়াবে এটিও বলা যায়।