শেয়ার দর ওঠা-নামায় যৌক্তিক কারণ থাকা আবশ্যক

শেয়ারবাজারে দরপতন থাকবেই। কার ওঠা-নামার মধ্য দিয়েই এখানে লেনদেন গতিশীল থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। তবে এসব ক্ষেত্রে যৌক্তিক কারণ থাকাটাও আবশ্যক। অকারণে জুয়ার বোর্ডের মতো আচরণ করার পুঁজিবাজারে ধর্ম হতে পারে না। কিন্তু এ ধরনের বিষয় আমরা প্রয়ই লক্ষ করি আমাদের দেশের শেয়ারবাজারে। এটি খুবই দুঃখজনক বিষয়। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা যায়। তারা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। এটি সামগ্রিকভাবে শেয়ারবাজারের জন্য ক্ষতিকর। বিগত দিনে আমরা অনেক এমন উদাহরণ পাবো।

যাই হোক টানা পতন কেটে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। প্রায় প্রতিদিন লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মূল্য সূচক। সেই সঙ্গে বাড়ছে লেনদেনের গতি। ফলে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পরিমাণও কিছুটা কমে আসছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের মতো অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। ফলে বাজারটিতেও বেড়েছে মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে শেষ ৮ কার্যদিবসের মধ্যে সাত কার্যদিবস মূল্যসূচক বাড়লো।

এর আগে গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসেই শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মেলে। তবে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমে সবকটি মূল্যসূচক। সেইসঙ্গে লেনদেনের পরিমাণও কমে। তবে দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার আবার ঊর্ধ্বমুখিতার দেখা মিলে শেয়ারবাজার। এটির ধারাবাহিকতা থাকলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরবে বলে আশা করি।

Tagged