দীর্ঘ মন্দার মধ্যেও গত এক মাস ধরে পুঁজিবাজারে কিছুটা চাঞ্চল্য ফিরেছে। শেয়ারদর বাড়ছে বেশ কিছু কোম্পানির। সংখ্যায় কম হলেও কিছু শেয়ার ফ্লোর প্রাইস ছেড়ে উঠে আসছে। এর প্রভাবও দেখা যাচ্ছে মূল্যসূচকে। নিম্নমুখী ধারা কাটিয়ে সূচকও কিছুদিন ধরে সামান্য ঊর্ধ্বমুখী। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে লেনদেনের পরিমাণও বেড়েছে। কিন্তু এর ঠিক উল্টো ধারা দেখা যাচ্ছে বিও অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি প্রতিষ্ঠান সিডিবিএলের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ২৭ মার্চ থেকে ৩ মে পর্যন্ত পাঁচ সপ্তাহে শেয়ার রয়েছে এমন বিও অ্যাকাউন্ট কমেছে ৬ হাজার ১৬৯টি। অন্য এক হিসাবে দেখা যাচ্ছে, সক্রিয় বিও অ্যাকাউন্টের মধ্যে পুরোপুরি শেয়ারশূন্য হয়েছে ৬ হাজার ২৫টি বিও অ্যাকাউন্ট।
এভাবে বিও অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ারশূন্য হওয়ার বিষয়টি খুবই উদ্বেগের। এ ঘটনা সার্বিক পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার বহিঃপ্রকাশ। কিছু বিনিয়োগকারী সুযোগ পেলেই বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার চেষ্টায় আছেন। তবে কিছু ব্রোকারেজ হাউস কর্মকর্তা এ মতকে সমর্থন করলেও অন্য অনেকে এ ধারাকে ‘সিজনাল কেইস’ বলে অভিহিত করেছেন। তাদের মতে, প্রতিবছর জুনের আগে আইপিও শিকারিদের বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়।
শেয়ারবাজারে যখন শেয়ারদর ও লেনদেন বাড়ছে, তখন বিও অ্যাকাউন্ট শূন্য হওয়ার কারণ হতে পারে– সার্বিক অনিশ্চিত পরিস্থিতির কারণে মানুষ বিনিয়োগ থেকে বিমুখ হতে পারেন। তাছাড়া যে বাজারে ভালো শেয়ার কেনাবেচা হয় না, ফ্লোর প্রাইসে পড়ে থাকে এবং উল্টো দিকে মন্দ শেয়ারের দাম বাড়ে, সে বাজার থেকে সুযোগ পেলে কিছু মানুষ বিনিয়োগ তুলে নেবেন এটাই স্বাভাবিক। তাই বাজারের গুণগত পরিবর্তন প্রয়োজন।