দিন যত যাচ্ছে দেশের অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান তত বাড়ছে। দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানও এখন তালিকাভুক্ত হচ্ছে এখানে। দেশের সাধারণ মানুষও উন্নয়নের মালিকানায় অংশীদার হচ্ছেন।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তথ্য অনুযায়ী, দেশ স্বাধীন হওয়ার পাঁচ বছর পর ১৯৭৬ সালে প্রথমবারের মতো ডিএসই’র কার্যক্রম শুরু হয়। ওই সময় তালিকাভুক্ত মাত্র নয়টি প্রতিষ্ঠানের বাজার মূলধন ছিল ১৩ কোটি টাকা। গত ৪৫ বছরে এ বাজারে আরও ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
পুঁজিবাজারের সক্ষমতা যত বাড়বে, তত বেশি সুযোগ তৈরি হবে। শিল্পে অর্থায়নের ক্ষেত্রে এখনও বিশ্বে পুঁজিবাজারের বিকল্প নেই। পুঁজিবাজার দিয়ে যা করা যায়, ব্যাংকখাত বা অন্যকোনোভাবে সেটি সম্ভব নয়। তাই পুঁজিবাজারের এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে হবে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। এটি করা গেলে দেশের শিল্প-বিনিয়োগে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসবে। এটি একটি প্রমাণিত বিষয়। অনেক উন্নত দেশ তাদের অর্থনীতিতে এ ধরনের নজির সৃষ্টি করেছে। সেইসব উদাহরণ থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। নিজেদের বাস্তবতা অনুযায়ী একে কাজে লাগাতে পারি। তা হলে দ্রুত সুফল পাওয়া সম্ভব।