দেশে অর্থনীতি বড় হলেও ছোট হচ্ছে পুঁজিবাজার। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় বাজার মূলধন কমছে। একইভাবে কমছে বাজার থেকে শিল্পায়নের পুঁজির জোগানও। আবার করোনার প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক কর্মসংস্থানও কমছে।
সরকারের নীতিনির্ধারকরাও বাজারকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা সে বিষয় নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। যে কারণে এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো প্রণোদনা দেয়া হয়নি। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, দেশের শিল্পায়নের পুঁজির জোগানে এ খাতে গুরুত্ব বাড়াতে হবে। কারণ এটিই একমাত্র খাত, যেখান থেকে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির জোগান দেয়া সম্ভব।
বিশ্লেষকরা মনে করেন,পুঁজিবাজার শক্তিশালী হলেই কেবল শিল্পায়নে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির সরবরাহ বাড়বে। এতে অর্থনীতিতে গতি আসবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। কিন্তু কেনো জানি আমাদের দেশে বিষয়টি উপেক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতির জন্য শুভ লক্ষণ নয়। পৃথিবীর বহু দেশ পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করে এর সার্পোট নিয়ে শিল্পায়ন বিকশিত করেছে। এতে সেসব দেশের জাতীয় অর্থনীতি সমৃদ্ধ হয়েছে। সেই তুলনায় আমাদের দেশে অনেক পিছিয়ে। সংশ্লিষ্টরা যত দ্রুত বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারবেন, দেশের জন্য ততটাই মঙ্গল হবে বলে আশা করি।