দেশের প্রধান পুঁজিবাজারের লেনদেন আবারও তলানিতে নেমেছে। গত সোমবার দিন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন নেমেছে ৩৫২ কোটি টাকায়। গত এক মাসের মধ্যে এটিই ডিএসইতে সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে সর্বশেষ গত ২৪ অক্টোবর ডিএসইতে সর্বনিম্ন ৩৩৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
কয়েক দিন ধরেই বাজারে মন্দাভাব বিরাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় লেনদেন কমতে কমতে সাড়ে তিন শ কোটি টাকার ঘরে নেমেছে। বাজারে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ শেয়ারের দামই নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে। তাতে ভালো মানের অনেক কোম্পানির লেনদেনও বন্ধ হয়ে গেছে বাজারে, যার প্রভাব লেনদেন ও সূচক উভয় ক্ষেত্রেই পড়ছে।
ভালো মৌল ভিত্তির অনেক শেয়ারে বাজারের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের অনেকের বিনিয়োগ আটকে গেছে। কারণ, এসব শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে নেমে আসায় তেমন কোনো লেনদেনই হচ্ছে না। ফলে একদিকে লেনদেন কমেছে, অন্যদিকে এসব শেয়ারে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ আটকে গেছে।
ওইদিন ডিএসইতে গ্রামীণফোনের মাত্র ১ হাজার ১৯১টি শেয়ার লেনদেন হয়। গত রোববার লেনদেন হয়েছিল ৬১৫টি শেয়ার। অথচ গত ২০ সেপ্টেম্বরও ডিএসইতে কোম্পানিটির তিন লাখের বেশি শেয়ারের হাতবদল হয়েছিল। একইভাবে গত কয়েক দিনে বেক্সিমকো লিমিটেডের হাতবদল হওয়া শেয়ারের পরিমাণ নেমেছে লাখের নিচে। অথচ ২ নভেম্বরও লেনদেনের শীর্ষে থাকা এ কোম্পানির প্রায় পৌনে দুই কোটি শেয়ারের হাতবদল হয়।
ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ২৪ পয়েন্ট কমে নেমে এসেছে ৬ হাজার ১৯০ পয়েন্টে। গত তিন মাসের মধ্যে এটি ডিএসইএক্স সূচকের সর্বনিম্ন অবস্থান। এর আগে সর্বশেষ গত ১৪ আগস্ট ডিএসইএক্স সূচকটি ৬ হাজার ১৭৫ পয়েন্টের সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হওয়া ৩০৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১৩টির। দাম কমেছে ৭২টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২১৯টির। বেশির ভাগ শেয়ারের দরপতনের কারণে গতকাল সূচকটি কমেছে। আবার যেহেতু তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বড় একটি অংশই ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে, তাই দাম অপরিবর্তিত থাকা কোম্পানির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এতে হতাশ হয়ে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।