একের পর এক বড় ধসে লণ্ডভণ্ড পুঁজিবাজার। দেশের অর্থনীতির অবস্থা ভালো, সরকারের পক্ষ থেকে এমন দাবির পরও পুঁজিবাজারের এ বেহাল অবস্থা কিসের আলামত? যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাজারে বড় ধরনের ধস যেমন কাম্য নয়, একইভাবে লোকদেখানো উত্থানও মঙ্গলজনক নয়। দেখা যাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজারে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটছে। এটি মোটেও প্রত্যাশিত নয়।
পুঁজিবাজার পরিস্থিতি সামলে উঠতে হলে এই সময় বড় ধরনের পদক্ষেপ ও পরিবর্তন দরকার। একইসঙ্গে নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন সুশাসন। সুশাসনই গ্যারান্টি দিতে পারে স্বাভাবিক পুঁজিবাজারের। না হলে অযৌক্তিক উত্থান-পতন রোধ করা সম্ভব নয়। বলা হয় পুঁজিবাজারে দেখেশুনে বিনিয়োগ করতে হয়। যতই দেখেশুনে বিনিয়োগ হোক বাজারে যদি কারসাজি থাকে, অনিয়ম থাকে বিনিয়োগ নিরাপদ হবে না। অপতৎপরতা বন্ধ করে সুশাসন কায়েম করতে পারলেই কেবল বিনিয়োগ নিরাপদ হতে পারে। এই নিরাপত্তা যতই বিলম্বিত হবে, বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ততই তলানিতে যেতে থাকবে। যে বিনিয়োগকারী গত ১৫ বছর ধরে পুঁজিবাজারে আছেন, বলা যাবে না তিনি সচেতন নন, দক্ষ নন। দেখা যাচ্ছে সচেতন ও অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীরাও পুঁজি হারাচ্ছেন। বিশেষ করে মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করেও অকারণ ক্ষতির মধ্যে পড়তে হচ্ছে তাদের। সুতরাং স্বাভাবিক বাজার নিশ্চিত হলে তারা সুদিনে ফিরতে পারবেন বলে আশা করা যায়।