পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পুনর্গঠন হওয়ার পর বেশ কয়েকটি আইপিও আবেদন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে নানা ধরনের অসঙ্গতির কারণে। এটি খুবই ভালো পদক্ষেপ। যে কাজটি করতে পারেনি আগের কমিশন। অনেক দুর্বল আইপিও অনুমোদন করা হয়েছে ওই সময়। যা বাজারের উপকার না করে ক্ষতিই করেছে। একই সময় যাচাইবাছাই না করে রাইট শেয়ারও অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে পুঁজিবাজারে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে পড়েছে ওইসব কর্মকাণ্ড।
বর্তমানে পুঁজিবাজারের সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে আগামী কয়েক বছরের জন্য রাইট শেয়ার বন্ধ রাখা যেতে পারে। একইসঙ্গে বাজারে ভালো শেয়ারের জোগান বাড়ানোও উত্তম কাজ হতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে আইপিও আবেদন সঠিকভাবে যাচাইবাছাই হওয়া প্রয়োজন। আগের কমিশনের মতো যেনতেন অনুমোদন নয়। যদিও বর্তমান কমিশন এক্ষেত্রে বেশ কঠোর বলেই মনে হচ্ছে। এই কঠোরতার ফলে বাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। এখন এটিকে ধর রাখতে পারলে পুঁজিবাজার একটি ভালো অবস্থায় উন্নীত হবে বলে আশা করা যায়। এর পুরোটাই নির্ভর করছে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের ওপর।