যেনতেনভাবে দাম বাড়াটা কাম্য নয়

যখন সুযোগ মেলে কারসাজিকারকেরা তাঁদের হাতে থাকা শেয়ারের দাম বাড়াতে তৎপর হয়ে ওঠেন। বাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়লেই খুশি থাকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, হোক সেটি যেনতেনভাবেই। তাই তারা কারসাজিকারকদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক কোনো ব্যবস্থা নিতে চায় না। আর সুযোগটিই কাজে লাগান কারসাজিকারকেরা।

সম্প্রতি আইন সংশোধন করে সরকারি কর্মচারীদের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ খবরে গত সপ্তাহ থেকে শেয়ারবাজারে কিছুটা গতি ফিরেছে। বাজারে গতি ফিরতে শুরু করায় নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরাও বাজারে সক্রিয় হতে শুরু করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় লেনদেন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

সূচক ও লেনদেনের গতি ফিরতে শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকসানি ও কারসাজির শেয়ারের দাপটও বেড়েছে। কারসাজির এসব শেয়ারের দামের অস্বাভাবিক উত্থান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে বাজার তাতে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

কারসাজিকারকেরা সব সময় সুযোগসন্ধানী। যখনই সুযোগ পান, তাঁরা তাঁদের শেয়ারের দাম বাড়িয়ে মুনাফা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বর্তমানে যেনতেনভাবেই বাজার বাড়লেই খুশি থাকছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তাই তারা কারসাজিকারকদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এটিকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছেন কারসাজিকারকেরা। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে বাজারের জন্য মোটেই তা সুখকর নয়।

বাজারে এখনো ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম সেভাবে বাড়ছে না। এসব শেয়ারের দাম বাড়তে শুরু করলে তখন ভালো ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবেন। তবে নির্দিষ্ট কিছু শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে বাজারে সূচক ও লেনদেন বাড়লে সেটি বেশি দিন স্থায়ী হবে না।

Tagged