বহু বছর ধরে ক্ষোভের আগুনে পুড়ছেন পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা। মহামারি বা বৈশ্বিক মন্দা নয়, তারও অনেক আগে থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যাহত ছিলো। কিছুদিন পর পর বাজার ঘুরে দাঁড়ালেও স্থিতিশীলতা দেখা যায়নি। সূচক দুই দিন বাড়লে তিন দিন কমেছে। এটি অনেকটা নিয়মেই পরিণত হয়েছিলো। এ কারণে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। ফলে বিনিয়োগকারীদের সার্বিক অংশগ্রহণে ঘাটতি লেগেই ছিলো। বর্তমান অবস্থায় সেটি প্রকট হয়েছে।
পুঁজিবাজারে যদি হাত খুলে বিনিয়োগ না করা যায়, তা হলে বাজার প্রাণবন্ত হয় না। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার সংকট এখন অনেক বড় সংকটে পরিণত হয়েছে। বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দার কালে দূর থেকে তাকিয়ে দেখছেন অনেক বিনিয়োগকারী। কিন্তু তারা লেনদেনে সক্রিয় হচ্ছেন না। পুঁজিবাজার থেকে যেনো মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এখন সেই বিনিয়োগকারীদের বাজারে ফিরিয়ে আনার জন্য কার্যকর কিছু করতে হবে। না হলে পরিস্থিতির উন্নতি কতটা হবে, সেটি নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
মন্দা ছাড়াও যেসব সংকট পুঁজিবাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, সেগুলো চিহ্নিত করে এখনই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। না হলে বাজারের রুগ্নতা দূর হবে না।