মিউচুয়াল ফান্ড ও রাইট শেয়ার অনুমোদন বর্তমান বাজারে সংকট বাড়াবে

বিভিন্ন দেশের পুঁজিবাজারে ক্রান্তিকালে সেলাইন-অক্সিজেনের মতো কাজ করে মিউচুয়াল ফান্ড। কিন্তু আমাদের দেশে এর উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে মিউচুয়াল ফান্ড নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। এমনকি তারা দাবিও তুলেছেন বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আগামী তিন থেকে পাঁচ বছর মিউচুয়াল ফান্ড অনুমোদন বন্ধ করা হোক।

বিনিয়োগকারীদের দাবি অমূলক নয়। বর্তমান সময়ে দেশের পুঁজিবাজারে সার্পোট দিতে পারছে না মিউচুয়াল ফান্ডগুলো। প্রায় নব্বই ভাগ ফান্ডের ইউনিটের দর ফেস ভ্যালুর নিচে নেমে এসেছে। এসব ফান্ড অনুমোদন বন্ধ না হলে বাজারের অবস্থা আরো দুর্বল হবে। এছাড়া এ মুর্হূতে বাজার থেকে পুঁজি উত্তোলনের সুযোগ দিলে বিনিয়োগকারীরা আরো বেশি ক্ষতিগ্রম্ত হবেন। এখন বাজারে পুঁজি ঢুকানো দরকার।

আরো একটি বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আপত্তি। সেটি হচ্ছে রাইট শেয়ার।   ওই সময় পর্যন্ত রাইট শেয়ার অনুমোদনও চান না তারা। এ বিষটিও গুরুত্ব দিয়ে ভাবার প্রয়োজন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)। একই সঙ্গে আগে যে সব কোম্পানি রাইট দিয়ে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে পুঁজি তুলেছে সেগুলোর অবস্থা কী। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায় রাইট শেয়ার দেয়া অনেক কোম্পানির অবস্থা শোচনীয়। এর দায় কে নেবে? বিনিয়োগকারীদের কাছে দায়বদ্ধ কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে চলছে কিনা এটি দেখার দায় রয়েছে বাজার কর্তৃপক্ষ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার। এখানে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা সব নিয়ম মেনেই বিনিয়োগ করেছেন। কোম্পানিগুলো যদি অনিয়ম করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। না হলে অনিয়মই উৎসাহিত হবে। যেখানে অনিয়ম থাকে সেখানে মানুষের আস্থা থাকে না।

Tagged