ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত: দেশে কেজিতে দাম কমল ৩০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ খবরে বাংলাদেশের পাইকারি বাজারে পণ্যটির দাম কমে গেছে । সপ্তাহের শুরুতে পাইকারি বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজের দর কেজি ৮০ টাকার আশপাশে ছিল, যা সপ্তাহের শেষে নেমে আশে ৫৫ টাকায় । সেই সাথে অন্যান্য পেঁয়াজের দামও কমেছে।

ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যমগুলো বলছে, মার্চে দেশটিতে ৪০ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ লাখ টনের মতো বেশি। দাম কমে যাওয়ায় পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চলগুলোতে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবি উঠে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। এরপরই বাংলাদেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়তে থাকে। সব মিলিয়ে সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের মানুষকে অত্যন্ত চড়া দামে পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে। একসময় দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকায় ওঠে আসে।

গত সপ্তহে ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা ও তুরস্কের পেঁয়াজ ৮০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাবে, গত বছরের এ সময়ের তুলনায় পেঁয়াজের দাম এখন ২৭৮ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে, দেশি নতুন রসুনের দাম কমেছে। ১৫০ টাকার রসুন এখন ১২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আদার দামও কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। বাজারে আদা পাওয়া যাচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজিতে। অন্যান্য পণ্যের দামে উল্লেখযোগ্য হেরফের হয়নি।

এসএমজে/২৪/মি

Tagged