প্রত্যেক ব্রোকারহাউজের পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ১০০ কোটি করার দাবি জানিয়েছে বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। আর তার জন্য সর্বোচ্চ এক বছর সময় বেঁধে দেওয়ারও দাবি করেছে সংগঠনটি। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা বাড়াতে এ দাবি গত রোববার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লিখিতভাবে জানিয়েছেন সংগঠনটির নেতারা।
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিশোধিত মূলধন বাড়াতে ব্যর্থ ব্রোকারহাউজের ট্রেক স্থগিত করার দাবি করেছে।
সম্প্রতি ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে ঘটে যাওয়া দুর্নীতি ও প্রতারনার ঘটনায় ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন, মালিকপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের কঠোর শাস্তি এবং গ্রাহকদের টাকা ও শেয়ার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবী করেছে সংগঠনটি।
একইসঙ্গে তারা ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ঘটনাসহ অতীতে অনেক ঘটনা, দূর্ঘটনা, দূর্ণীতি, দায়িত্বে অবহেলা, অযোগ্যতা, বিনিয়োগকারীদের হয়রানী ও অপেশাদারমূলক কাজের জন্য ডিএসইর সার্ভিলেন্স ডিপার্টমেন্ট, মনিটরিং ডিপার্টমেন্ট, ক্লিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট, আইটি ডিপার্টমেন্টের বর্তমান দায়িত্বরতদের দ্রুত অপসারণ করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফেরাতে বিদ্যমান তারল্য সংকট দূর করতে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করেন তারা।
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের অন্যান্য দাবির মধ্যে আছে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগামী এক বছর কোনো আইপিও, রাইট শেয়ার, প্রেফারেন্স শেয়ার ছাড়ার অনুমোদন বা সুপারিশ না করা।
এসব দাবি নিয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পদক কাজী আব্দুর রাজ্জাক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম.শাহাদাত উল্লাহ রোববার বিএসইসি চেয়ারম্যান এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে দেখা করেছেন।
বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ঘটনায় তারা কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। দোষীদেরকে অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীদের প্রাপ্য সব শেয়ার ও টাকা ফেরত দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।