অনিয়ম আর লুটপাটের কারণে দেশের ব্যাংক খাত যে সংকটের মধ্যে পড়েছে, তাকে বাঁচাতে শেয়ারবাজারকে টেনে তুলতে হবে। বেসরকারি খাত তো বটেই, সরকারও বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজার উপেক্ষিত। সহজেই ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া এবং ফেরত না দেওয়ার সংস্কৃতিও শেয়ারবাজার বিকাশে বাধা।
অর্থনীতিকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করতে শেয়ারবাজারকে সামনে রেখে পুরো দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
ব্যাংক খাত এখন যে অবস্থায়, তাকে বাঁচাতে শেয়ারবাজারের বিকল্প নেই| ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ফেরত না দিলেও খেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতো না। তারপরও ব্যাংক নতুন করে টাকা দিয়েছে। অর্থনীতির স্বার্থে পুঁজিবাজারকে নিয়ে কীভাবে সমন্বিত আর্থিক ব্যবস্থা গড়া যায়, সে লক্ষ্যে কাজ করা প্রয়োজন।
দেশে এমনও বড় শিল্প গ্রুপ আছে, যার কোম্পানি ২০ থেকে ২৫টি, অথচ শেয়ারহোল্ডার মাত্র সাতজন। তারা কোম্পানিকে ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে রাখছেন। এখন তারা বুঝছেন। অবশ্য শেয়ারের ভালো দাম না পেলে তারা শেয়ারবাজারে আসতে চায় না। তাদের জন্য আকর্ষণীয় কর প্রণোদনা দরকার। বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকেও শেয়ারবাজারমুখী করতে পদক্ষেপ নিতে হবে।