এসএমজে ডেস্ক:
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভ্রমণ ও আবাসন খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড এয়ার লিমিটেডের স্বতন্ত্র পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদের ব্যর্থতার কারণ জানতে চেয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি ।
গত ৩ নভেম্বর কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক, পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছে বিএসইসি।
জানা যায়, ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ডিভিডেন্ড না দেয়ায় কোম্পানিটি জেড’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন করছে। সেইসাথে গত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে কোম্পানিটির সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। স্বতন্ত্র পরিচালকসহ পরিচালনা পর্ষদের ব্যর্থতার কারণে কোম্পানিটির আর্থিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। বরং প্রত্যাশিত লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।
আরোও জানা যায়, কোম্পানিটি আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সম্পন্ন করেনি। গত ২০১০ সাল থেকে টানা ৯ বছর বিনিয়োগকারীদের নগদ লভ্যাংশ দেয়নি কোম্পানিটি। এ পর্যন্ত কোনো সিকিউরিটিজ আইন যথাযথভাবে পরিপালন করছে না এবং প্রতিনিয়তই আইন লঙ্ঘন করে যাচ্ছে কোম্পানিটি। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অধ্যাদেশ ১৯৯৬ এর ১১(২) ধারা অনুযায়ী কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সব পরিচালক, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) এবং কোম্পানি সচিবকে এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে বিএসইসি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, ইউনাইটেড এয়ারের বিভিন্ন অসঙ্গতির বিষয়ে ব্যাখ্যার পাশাপাশি বেশ কিছু তথ্য-উপাত্ত চেয়েছে বিএসইসি। এর মধ্যে- ইউনাইটেড এয়ারের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদন অথবা নিরীক্ষিত/অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন, বর্তমান আর্থিক অবস্থার বিবরণ, বর্তমান জমি, ভবন, যন্ত্রপাতি ও সকল সম্পদের পরিমানের বিবরণ, সব উদ্যোক্তা পরিচালকদের বর্তমান শেয়ারধারনের তথ্য, প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও), পুনঃপ্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আরপিও) ও রাইট ইস্যুর প্রসপেক্টাস, আইপিও, আরপিও ও রাইট ইস্যুর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থ ব্যবহারের তথ্য, সর্বশেষ ব্যাংক ঋণের তথ্য এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণসহ ভবিষ্যৎ কর্ম পরিকল্পনার তথ্য।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে তালিকাভুক্ত হওয়া ইউনাইটেড এয়ার কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে ১ কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করে। এর পরের বছর ২০১১ সালে কোম্পানিটি ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে অতিরিক্ত ৫ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে ২১ কোটি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে ৩১৫ কোটি টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে।
এসএমজে/২৪/মি