নিজস্ব প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বীমা পেশায় থেকে স্বাধীনতা সংগ্রামের কাজ করে গেছেন। দেশে স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই প্রথম বীমাখাতের সংস্কারে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকার বীমাখাতের উন্নয়নে যুগান্তকারি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
এমনটাই বলেছেন বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)’র চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন। আগামী ১ মার্চ জাতীয় বীমা দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিআইএ’র প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন (ভার্চুয়ালি), অতিরিক্ত সচিব আবদুল্লাহ হারুন বাশার, বিআইএফ’র প্রেসিডেন্ট বি এম ইউসুফ আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ড. এম মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার নিজস্ব অর্থায়নে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা বীমা চালু করতে যাচ্ছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিতে ১৬ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী শিশুকে বীমার আওতায় আনার উদ্যোগ হিসেবে সরকার চালু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্যবীমা। বঙ্গবন্ধু ক্রিড়া প্রেমী ছিলেন, তাই তার প্রতি সম্মান জানাতে বঙ্গবন্ধু স্পোর্টসম্যান ইন্স্যুরেন্স চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও চালু করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু সুরক্ষা বীমা।
তিনি বলেন, বীমা খাতের উন্নয়নে বর্তমান সরকারে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে, তার সুফল ইতোমধ্যে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এসব উদ্যোগের সুফল অদূর ভবিষ্যতে আরো দৃশ্যমান হবে।
শেখ কবির হোসেন বলেন, যে দেশের বীমাখাত যতো শক্তিশালী সে দেশের অর্থনীতি ততো শক্তিশালী –এটা প্রথম বুঝতে পেরেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই বীমাখাতের উন্নয়নে সংস্কারে হাত দেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বীমাখাতের উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর কোন সরকার বীমাখাতের উন্নয়নে তেমন ভূমিকা নেয়নি। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার বীমা আইন পাস করেছে, বীমাখাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা গঠন করেছে। এছাড়াও বীমাখাতের উন্নয়নে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
এসএমজে/২৪/রা