দেশ এখন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পার করছে। সামাজিক সূচকগুলোর দিকে তাকালে দেখবো অনেক ক্ষেত্রেই উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে। কোনো কোনো সূচকে আমরা প্রতিবেশী দেশগুলো থেকেও এগিয়ে রয়েছি। অবকাঠামোগত উন্নয়নও আশার সঞ্চার করছে। এর জন্য নিশ্চয়ই দেশবাসীর মেধা ও পরিশ্রম কম হয়নি। কিন্তু দেশের পুঁজিবাজারের চিত্র কিন্তু খুব একটা সুসংবাদ দেয় না। এক্ষেত্রে মনে হয় আমরা প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় তেমন ভালো করতে পারিনি। এই না পারার জন্য বহু কারণ থাকতে পারে। থাকতে পারে নানামুখী ব্যর্থতা। এখন দরকার এসব সীমবদ্ধতা কাটিয়ে দেশের পুঁজিবাজারকে বিশ্বমানে উন্নীত করা।
কোনো কাজই রাতারাতি হয় না। তারপরও একটি সময়কে টার্গেট করে এগোতে হয়, না হলে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। পঞ্চাশ বছর একটি দেশের ক্ষেত্রে কম সময় নয়। আবার বেশি সময়ও নয়। এরই মধ্যে অনেক বিষয়ে অগ্রসর হওয়ার নমুনা পরিস্কার হয়েছে। আর কিছু বিষয় অস্বচ্ছ রয়ে গেছে। পুঁজিবাজার সম্পর্কেও সবার ধারণা একরকম নয়। এখানে ব্যর্থতা সাফল্য আছে। তারপরও উন্নতবিশ্বের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে গেলে আমাদের দুর্বলতাগুলো কম নয়। এই দুর্বলতা কাটাতে না পারলে পুঁজিবাজার সম্পর্কে দেশে ও দেশের বাইরে স্বচ্ছ ধারাণা গড়ে উঠবে না।