বিনিয়োগকারীরা কীভাবে এই ক্ষতি পোষাবেন

দেশের পুঁজিবাজারে গত ৭ সপ্তাহ টানা পতনের পর বিদায়ী সপ্তাহে সামান্য উত্থান হয়েছে। এর জেরে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের পুঁজি কিছুটা বেড়েছে। তবে গত আড়াই মাসে যে পরিমাণ দরপতন হয়েছে, তাতে এখনো সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীদের সম্মিলিত ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ কোটি টাকার বেশি।

পতনের চাপে দিশেহারা বিনিয়োগকারীরা ঈদের পর শেয়ারবাজার কোন দিকে মোড় নেবে, সেই সমীকরণই কষছেন। ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে, না পুষিয়ে উঠতে পারবেন, সেই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁদের মাথায়।

ঈদের পর বাজার কোন দিকে যাবে, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। যদি ঘুরে দাঁড়ায়, তাহলে হয়তো কিছুটা লোকসান পুষিয়ে ওঠা যাবে। আর তা না হলে ক্ষতি আরও বাড়বে। সেটা হলে মনে হয়, অনেক বিনিয়োগকারী বাজার ছেড়ে দেবেন।

তবে ঈদের পর বাজার সামনের দিকেই এগুবে। কারণ এতোদিন বিএসইসি’র চেয়ারম্যানের চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিরোধিতা করে একটি পক্ষ বাজার ডাম্পিং করেছেন। যেহেতু চেয়ারম্যানের চুক্তির মেয়াদ ফয়সালা হয়ে গেছে, সেহেতু এখন তারাও বাজারে তোলার উদ্যোগে সামিল হবেন। আর বিরোধিতকা করার সাহস পাবেন না। এছাড়া, বাজার এখন সর্বোচ্চ তলানিতে। পেছনে যাওয়ার আর সুযোগ নেই। যতটা সম্ভব এমন ভাবনা থেকেই বাজার পরিচালনা করতে হবে। কারণ দেখতে হবে কীভাবে বিনিয়োগকারীরা এই ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন।

Tagged