বিনিয়োগকারীদের হাহাকার থামানোর উদ্যোগ নিন

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একের পর এক বৈঠক করলেও দেশের শেয়ারবাজারে দরপতন থামছে না। অব্যাহত দরপতনের মধ্যে পড়ে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। ফলে দিন যত যাচ্ছে তাদের হাহাকার ততো বাড়ছে। তাই এখন এই হাহাকার থামানোর উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। রাতারাতি সম্ভব না হলেও যত দ্রুত সম্ভব এটি করা উচিত।

শেয়ারবাজারে এমন দরপতনের প্রতিবাদে একাধিক দিন বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ। তাদের এই বিক্ষোভ থেকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা কয়েক দফায় বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে। একই সঙ্গে পুঁজিবাজার সংস্কারে টাস্কফোর্স গঠন করেছে বিএসইসি। কিন্তু কিছুতেই দরপতন ঠেকানো যাচ্ছে না।

সর্বশেষ পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নয়ন, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মানে পুঁজিবাজারের সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গতকাল সোমবার বিএসইসি পাঁচ সদস্যের একটি বিশেষ পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স গঠন করেছে। এই টাস্কফোর্সকে ১৮ দফা কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে দিয়েছে বিএসইসি।

নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাজার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে একের পর এক বৈঠক করলেও বিনিয়োগকারীদের ভাগ্যের কোনো উন্নতি হয়নি।  তবে আমরা আশাবাদী, বর্তমান সরকারের চেষ্টার মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজারে সুবাতাস বইবে।

Tagged