পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের মালিকদের বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। কোম্পানিটির মালিকানার সঙ্গে যুক্ত দুই ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে ১৪ কোটি টাকা জরিমানা করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তারা আইন লঙ্ঘন করে কোনো ঘোষণা ছাড়া তাদের হাতে থাকা বিপুল শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে ১২ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছেন।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে আসা এ কোম্পানি বর্তমানে বন্ধ। কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাজারে এসেছিল। ওই সময় তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদনও হয়েছিল। কিন্তু সেসবে ‘রা’ করেনি বিএসইসির তৎকালীন কমিশন। যে কমিশনের নেতৃত্বে ছিলেন এম খায়রুল হোসেন, যার বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ তিনি মানহীন কোম্পানি বাজারে আসার সুযোগ করে দিয়ে বাজারটাকে ডুবিয়েছেন। তারই প্রকৃষ্ট উদাহরণ এই সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল। তালিকাভুক্তির কয়েক বছর না যেতেই বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দেওয়া বন্ধ করে কোম্পানিটি। আইপিওর টাকা তুলে নেওয়ার পর মালিকেরা তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করেও বাজার থেকে তুলে নেন বিপুল অর্থ। এরপর কারখানা বন্ধ করে মূল মালিকেরা পালিয়েছেন দেশ ছেড়ে। দেশ ছেড়ে যাওয়া এর মালিকদেরই এখন বড় অঙ্কের জরিমানা করল বিএসইসি। তাই স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, আদৌ কি জরিমানার এ টাকা আদায় হবে?
এসব থেকে এটাই স্পষ্ট, মালিকেরা টাকা হাতিয়ে নিতেই কোম্পানিটিকে পুঁজিবাজারে এনেছিলেন। এখন মালিকদের বড় অঙ্কের জরিমানা করল বিএসইসি। কিন্তু ততক্ষণে তারা বিদেশের আরাম আয়েশের জীবনের বাসিন্দা। সর্বনাশ হলো কেবল সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। এর থেকে কী শিক্ষা পেল পুঁজিবাজার?