বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জালিয়াতি করা কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কালক্ষেপণ কেনো

পুঁজিবাজার থেকে টাকা তুলে নেওয়ার পাঁচ বছর পর জানা গেল কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে টাকা তুলতে নানা জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে। আর জালিয়াতির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তুলে সেই টাকাও তারা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। কোম্পানিটি হলো নুরানী ডায়িং অ্যান্ড সোয়েটার লিমিটেড। ২০১৭ সালে কোম্পানিটি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।

 এ কারণে কোম্পানি ও উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি বুধবার অনুষ্ঠিত কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কোম্পানির উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি আইপিওর ইস্যু ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ইস্যু ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান ও হিসাব নিরীক্ষকদের বিরুদ্ধেও মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বিএসইসি জানায়, ২০১৭ সালে আইপিওতে আসার আগে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জানিয়েছিল, এবি ব্যাংকের কাছে তাদের প্রায় ১০০ কোটি টাকার দায় বা ঋণ রয়েছে। পরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএসইসির তদন্তে বেরিয়ে আসে কোম্পানিটির ঋণের পরিমাণ ছিল প্রায় ৬০০ কোটি টাকা। ব্যাংকের বিপুল ঋণের তথ্য গোপন করে কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৪৩ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকা কোম্পানিটি ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিনিয়োগ করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু সেটি না করে কোম্পানিটি জালিয়াতির করে সহযোগী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করে।

তালিকাভুক্তির চার বছর না পেরোতেই ২০২১ সালে এসে বন্ধ হয়ে যায় কোম্পানিটি। কারখানার উৎপাদন ও প্রধান কার্যালয় বন্ধ হয়ে গেলেও তা বিনিয়োগকারীদের জানায়নি কোম্পানিটি। গত বছর ডিএসইর একটি প্রতিনিধিদল নুরানী ডাইংয়ের কারখানা ও প্রধান কার্যালয় সরেজমিন পরিদর্শন করে বন্ধের এ ঘটনা জানতে পারে।

এক্ষেত্রে আইপিও প্রক্রিয়ায় যারা জড়িত ছিলেন, তাদের কী কোনো দায় নেই? বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে জালিয়াতি করা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এতে কালক্ষেপণ কেনো?

Tagged