সাধারণ বিনিয়োগকারীরা হচ্ছে পুঁজিবাজারের প্রাণ। তারা যত বেশি সক্রিয় ও প্রাণবন্ত থাকবেন, পুঁজিবাজার তত বেশি গতিশীল থাকবে। তাই পুঁজিবাজারের অন্যতম প্রধান গুরুত্ব পাওয়া উচিত বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু অনেক সময়ই আমাদের দেশে পুঁজিবাজারে বিষয়টি মনে রাখা হয় না। এমন কি কখনো কখনো কতিপয় চক্রের স্বার্থই পুঁজিবাজারে বড় হয়ে ওঠে। এতে তারা নানাভাবে বঞ্চিত হন। এই বঞ্চনার মধ্য দিয়ে তারা বাজারের প্রতি অনাস্থা পোষণ করেন। শেষ পর্যন্ত এটি পুঁজিবাজারের সার্বিক উন্নতিকে বাধাগ্রস্ত করে। বলা প্রয়োজন, বিনিয়োগকারীদের বিপদে ফেলে পুঁজিবাজারের উন্নতি সম্ভব নয়।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ পুঁজিবাজার তৈরি করতে পারলে হয়তো এ ধরনের সংকট নিরসন হওয়া সম্ভব। সংস্থাটি বিভিন্ন সময় বলে আসছে, পুঁজিবাজারের সাধারণ বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে তারা সম্ভাব্য সবকিছু করবে। আমরা তাদের কথায় আস্থা রাখতে চাই। তবে অনেক সময়ই আমাদের আস্থায় গুড়েবালি পড়ে। তারপরও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বিভিন্ন সময় আমরা তাদেরকে ধৈর্য ধাররণের আহ্ববান জানিয়ে থাকি। তবে তাদেরও একটা ধৈর্যের সীমা আছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতি আমরা অনুরোধ করবো অনেক দিন ধরেই বিনিয়োগকারীরা বিপদে আছেন, মন্দার কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত। তাই তাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েই সবকিছু করুন।