বিনিয়োগকারীদের দুর্দিনে ওটিসি মার্কেট নিয়ে পদক্ষেপ নেই কেনো কর্তৃপক্ষের?

বিভিন্ন অনিয়মের কারণে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি মার্কেটে শাস্তিস্বরূপ পাঠানোর ফলে বিপদে পড়েছেনে এসব কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা। আর কোম্পানি কর্তৃপক্ষ বরং নিরাপদেই রয়েছেন বিনিয়োগকারীদের টাকা পকেটস্থ করে।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে মূল মার্কেট থেকে আলাদা করে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট তৈরি হলেও এতে ভোগান্তি না কমে বরং বেড়েছে। সময়ের সঙ্গে অনেকটা অঙ্গতিপূর্ণ হওয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ওটিসি মার্কেট।

ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর সীমাহীন অনিয়মের মধ্যে রয়েছে- ঠিক মতো আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ না করা, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) না করা, পূর্ব নির্ধারিত ফেস ভ্যালু অভিন্ন (১০ টাকা) না করা, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ না দেয়া এবং কোম্পানির ঠিকানা এবং কর্তৃপক্ষের উধাও হয়ে যাওয়া।

এসব কারণে এ মার্কেটের কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয় না বললেই চলে। ওটিসি মার্কেটের কোম্পানিগুলোর অনিয়মের খেসারত দিচ্ছেন অসংখ্য বিনিয়োগকারী। গত ২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ওটিসি চালু হবার পর এখন পর্যন্ত লেনদেন হয়নি এমন কোম্পানির সংখ্যা অনেক। এখানে তালিকাভুক্ত কোম্পানির সংখ্যা ৬৭টি।

 এসব কোম্পানিকে নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসা সম্ভব হলে এ পরিমাণ কোম্পানি সাধারণ মার্কেটে জায়গা পাবে। এতে বাজারে শেয়ার সংকট কমবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মতে, ওটিসির কোম্পানিগুলোর অনিয়মের পেছনে এর কর্তৃপক্ষই জড়িত। কিছু কোম্পানির ব্যবসা না থাকলেও অনেক কোম্পানি ইচ্ছে করেই এ অনিয়ম করছে। বছর শেষে মুনাফার অংশ ভাগাভাগি থেকে বিরত থাকতেই এ প্রক্রিয়া অবলম্বন করছে তারা।

বছরের পর বছর বিনিয়োগকারীদের টাকা আটকে রয়েছে ওটিসি মার্কেটে। বাজারের এই দুর্দিনে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কী ভূমিকা পালন করছে? তারা কেনো এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না, এটি বোধগম্য নয়।

Tagged