গত বৃহস্পতিবার লেনদেনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো পুঁজিবাজারে চলতি বছরের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন। এর মধ্য দিয়ে অবসান হলো বিনিয়োগকারীদের হতাশার একটি বছর। দীর্ঘ অর্থনৈতিক মন্দা, রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা কারণে পুঁজিবাজার ছিলো অস্থির ও মন্দাকবলিত। ফলে বছরজুড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ছিলেন, হতাশাগ্রস্ত। পুঁজিবাজারে স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। তারপরও বাজারে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসেনি। এতে অনেক বিনিয়োগকারীর মধ্যে নানা ধরনের প্রশ্ন দেখা দেয় বাজার নিয়ে। এর মধ্যে অনেক বিনিয়োগকারী নিভৃতে বাজার ছেড়েছেন। আবার অনেকে নি:স্ব হয়ে ফিরে গেছেন পুঁজিবাজার থেকে। এতে হাজার হাজার পরিবার ক্ষতির মধ্যে পড়ে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে দেখা দেয় হতাশা।
দেশের পুরো অর্থনীতিই ছিলো কিছুটা অস্থির। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সংকট, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে সারা দেশের মানুষের মতো বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতির শিকার হন। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সংকটে পড়েন।
অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ পুঁজিবাজার হলেও, সেভাবে তৎপরতা দেখা যায়নি বাজার কর্তৃপক্ষ বা নিয়েন্ত্রক সংস্থার। এ কারণে পুঁজিবাজার নীতিনির্ধারকদেরও তেমন মনোযোগ পায়নি পুঁজিবাজার। এসব কারণে বিদায়ী বছরটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ছিল চরম হতাশার।