যৌক্তিক কারণেই পুঁজিবাজারে ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করেছিল কর্তৃপক্ষ। বর্তমান বাজারের যে অবস্থা এটি আশানুরূপ নয়। তবে ফ্লোরপ্রাইস আরোপ করা না হলে বাজারের অবস্থা আরো খারারপ হওয়ার শঙ্কা ছিল। সেই শঙ্কা এখনও কাটেনি। তাই বিকল্প সাপোর্ট ছাড়া এই মুহূর্তে পুঁজিবাজার থেকে ফ্লোরপ্রাইস ব্যবস্থা তুলে নেয়া সঠিক কাজ হবে বলে মনে হয় না।
ফ্লোরপ্রাইস ব্যবস্থা তুলে দিলে শেয়ারের দর ওঠা–নামার সুযোগ পাবে। তাতে লেনদেনে হয়তো কিছুটা বাড়তে পারে। কিন্তু বিষয়টি বর্তমান বাস্তবতায় অনেক ঝুঁকিপূর্ণ। তাতে যদি শেয়ারের দাম অনেক কমে যায়, তাহলে অসংখ্য বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে যারা ব্রোকারহাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে (মার্জিন ঋণ) শেয়ার কিনেছেন, তারা ফোসর্ড সেলের কবলে পড়বেন। এই ধরনের বেশিরভাগ বিনিয়োগকারীর পক্ষে হয়তো নতুন করে তহবিল যোগান দিয়ে পোর্টফোলিও ধরে রাখা সম্ভব হবে না। তাই ফোসর্ড সেলও এড়ানো যাবে না। তাদের শেয়ার ফোসর্ড সেল হয়ে গেলে তারা পুঁজি হারিয়ে বাজার থেকে ছিটকে পড়েন। শুধু বিনিয়োগকারী নয়, ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও তাতে বিপদে পড়বেন। তাই ফ্লোরপ্রাইস তুলে দেওয়ার পথে এগুতে চাইলে পর্যাপ্ত ব্যাক–আপের ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে বাজারে যতই শেয়ার বিক্রির চাপ আসুক, ভাল মানের সব শেয়ার কিনে নেওয়া যায়।
যদি ব্যাক–আপ সাপোর্ট তৈরি করা না যায়, সে ক্ষেত্রে ফ্লোরপ্রাইস ব্যবস্থা একটা সময় পর্যন্ত বহাল রাখা উচিত। একটি সুযযোগ সন্ধানয় চক্র রয়েছে; ফ্লোরপ্রাইস তুলে দিলে কমদামে শেয়ার কেনার জন্য। তাদেরকে সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না।