বিএসইসি কঠোর হলে কারসাজি কমে আসবে

পুঁজিবাজারে টানা পতন ঠেকাতে তদারকি বাড়িয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সময় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ৯টি ব্রোকারেজ হাউসের ১৫ জন অনুমোদিত প্রতিনিধি বা ট্রেডারকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫টি ব্রোকারেজ হাউসের ১৫ জন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা সিইওর কাছে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। গত সোম ও মঙ্গলবার আলাদা আলাদাভাবে এ ব্যবস্থা নিয়েছে বিএসইসি। এর জেরে গত দুই দিনে দরপতন থেমেছে সূচকের। লেনদেনেও এসেছে গতি।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল বুধবার ৭৬ পয়েন্ট বা প্রায় সোয়া ১ শতাংশ বেড়েছে। এর আগের দিন, অর্থাৎ মঙ্গলবার এ সূচক বেড়েছিল ৪৮ পয়েন্ট বা পৌনে ১ শতাংশ। আর গত দুই দিনে ঢাকার বাজারের প্রধান সূচকটি ১২৪ পয়েন্ট বেড়ে আবারও ৬ হাজার ৬০৬ পয়েন্টের অবস্থানে উঠেছে। অথচ টানা কয়েক দিনের পতনে এ সূচক সোমবার সাড়ে ৬ হাজার পয়েন্টের মনস্তাত্ত্বিক সীমার নিচে নেমে গিয়েছিল।

গত দুই দিনে বিএসইসি যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, তার কারণে ব্রোকারেজ হাউসগুলো লেনদেনে সতর্ক হয়েছে। বিশেষ করে বিক্রির ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে। আবার বিএসইসি ব্যবস্থা নিতে পারে—এ ভয়ে অনেকে বিনিয়োগকারীদেরও বড় অঙ্কের শেয়ার বিক্রিতে নিরুৎসাহিত করছে। উল্টো শেয়ার কেনায় আগ্রহী হয়েছেন অনেকে।

পুঁজিবাজারে কমবেশি সব সময় নানা ধরনের কারসাজির ঘটনা ঘটে। এসব কারসাজির কারণেই বাজারে কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ হঠাৎ বড় ধরনের উত্থান-পতন দেখা যায়। সব সময় যদি নিয়ন্ত্রক সংস্থা সব ধরনের কারসাজির বিষয়ে কঠোর হয়, তাহলে বাজারে কারসাজির প্রবণতা কমে আসবে। সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও বাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আস্থা ফিরে পাবেন। কিন্তু বিএসইসি যখনই কারসাজির ঘটনা জেনেও চুপচাপ থাকে, তখনই বাজারের ওপর থেকে আস্থা কমতে থাকে বিনিয়োগকারীদের।

Tagged