নিজস্ব প্রতিবেদক:
নিরীক্ষা সংক্রান্ত দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ফেঁসে যাচ্ছে দেশের অন্যতম শীর্ষ চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি প্রতিষ্ঠান একনাবিন। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আমান গ্রুপের কোম্পানি আমান ফিডের আইপিও’র টাকা ব্যবহারে দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার দায় চেপেছে ওই প্রতিষ্ঠানের ঘাড়ে। এই ‘অপরাধে’ পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নেওয়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সম্মুক্ষিণ হতে যাচ্ছে একনাবিন ও এর একজন পার্টনার রোকনুজ্জামান।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থের নীরিক্ষার ক্ষেত্রে একনাবিনের পার্টনার মো: রোকনুজ্জামানের উপর অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এখন থেকে তিনি আইপিওতে আসা কোনো কোম্পানির অর্থ ব্যবহারের নিরীক্ষা করতে পারবেন না।
আমান ফিডের আইপিও’র অর্থ ব্যবহার সংক্রান্ত নিরীক্ষার বিষয়ে দায়িত্বে অবহেলার জন্য একনাবিন চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টস এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টদের সংগঠন ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) এর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি।
গতকাল, ২৮ জানুয়ারি, মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিএসইসির ৭১৬তম কমিশন বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আমান ফিড লিমিটেড ২০১৫ সালে আইপিও ইস্যু করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৭২ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। কোম্পানিটি আইপিওতে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারে ২৬ টাকা করে প্রিমিয়াম নিয়ে ৩৬ টাকা দরে শেয়ার বিক্রি করে।
বিধি অনুসারে,আইপিওর টাকা কোথায় বিনিয়োগ করা হবে তা প্রসপেক্টাসে উল্লেখ করতে হয়। কোনো কারণে ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় পরিবর্তন এলে বা অন্য কোনো খাতে বিনিয়োগ করতে চাইলে সাধারণ সভা ডেকে শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতি ও বিএসইসির অনুমতি নিতে হয়। এছাড়া আইপিওর অর্থ ব্যবহারের হালনাগাদ তথ্য জানিয়ে নিয়মিতভাবে বিএসইসিতে প্রতিবেদন পাঠাতে হয়। ওই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টের মাধ্যমে সত্যায়ান করতে হয়। আমান ফিড কর্তৃপক্ষ অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার না করে বিএসইসিকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে। আমান ফিডের আইপিওর অর্থ ব্যবহারের নিরীক্ষক ছিল একনাবিন। সূত্র: বিএসইসি।
এসএমজে/২৪/বা