যে কোনো ব্যবস্থাপনার জন্য ন্যায্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটির যদি ঘাটতি থাকে তা হলে পরিণতি ভালো হয় না। দেশের পুঁজিবাজারে হরহামেশাই ন্যায্যতার ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষ করে সাধারণ বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অন্যায্য আচরণ প্রায়ই দেখা যায়। এটি অবশ্যই দূর হওয়া উচিত।
গত ১৫ বছর ধরে খারাপ কোম্পানির তালিকাভুক্তি নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জসহ বাজার অংশীজনেরা বিরোধিতা করে আসছিল। কিন্তু নিয়ন্ত্রক সংস্থা এসব বিরোধিতাকে আমলে নেয়নি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভুল সিদ্ধান্তে শতাধিক কোম্পানি এখন জেড শ্রেণিভুক্ত। এর জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। এটি অন্যায্য। এর মধ্য দিয়ে পুঁজিবাজার তার আস্থা হারাচ্ছে। যেনতেনভাবে যারা পুঁজিবাজারে আইপিও অনুমোদন করেছেন, এখন তাদের জবাবদিহি করা উচিত। বিএসইসির ভুলের মাশুল কেনো বিনিয়োগকারীরা দেবেন?
এছাড়া আইপিও নীতিমালার আমূল পরিবর্তন দরকার। পাশাপাশি কোম্পানির শ্রেণিবিভাজন নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। সেই সঙ্গে বাজারে কোম্পানির তালিকাভুক্তি ও তালিকাচ্যুতির ক্ষমতা স্টক এক্সচেঞ্জের হাতে ন্যস্ত করা সময়ের দাবি। পুঁজিবাজার উন্নয়নে যে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে, তারা আইপিও নীতিমালা সংশোধন ও কোম্পানির শ্রেণিবিভাজনের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত দিতে পারে।