নিজস্ব প্রতিবেদক:
পুঁজিবাজারে উন্নয়ন ও গতিশীল করতে অর্থমন্ত্রীর কাছে চূড়ান্ত বাজেটে ৬ দাবি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ।
গত মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রীর কাছে এক চিঠিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদ কাজী আব্দুর রাজ্জাক সংবাদমাধ্যকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অর্থমন্ত্রীর কাছে ৬ দাবি পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছি। চূড়ান্ত বাজেটে ওই দাবিগুলো সংযোজন করা হলে বাজারে গতিশীলতা ফিরে আসবে। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরবে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে গতিশীলতা বৃদ্ধি ও আস্থা ফেরাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব প্রস্তাবিত বাজেটে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে। তার ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাবে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও গতিশীলতা বাড়ানোর জন্য ৬টি দাবি পুনর্বিবেচনা করে তা চূড়ান্ত বাজেটে সংযোজনের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রদশিত অর্থ ১০ শতাংশ কর দেওয়ার মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ৩ বছরের লক-ইন শর্তে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা হয়েছে। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এই কর হার ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করে ৩ বছরের লক-ইন শর্ত বাতিল করতে হবে। আর নগদ, ব্যাংকে জমা, সঞ্চয়পত্রে অপ্রদশিত অর্থ বিনিয়োগ সুযোগ বাতিল করলে পুঁজিবাজার গতিশীল হবে।
এছাড়া পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর করপোরেট কর হার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করতে হবে। এর ফলে ভালোমানের বহুজাতিক (মাল্টিন্যাশনাল) কোম্পানিসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে। এতে পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়বে।
আরো রয়েছে, বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে কমপক্ষে ১ লাখ টাকা করতে হবে। বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশের ওপর যে অগ্রিম কর কেটে নেওয়া হয়, সেটাকে চূড়ান্ত কর হিসেবে গণ্য করতে হবে।
পুঁজিবাজারে লেনদেনের ওপর প্রতি লাখে ৫০ টাকা কর কর্তন করা হয়। এটা কমিয়ে আগের ন্যায় প্রতি লাখে ১৫ টাকা করতে হবে।
এবং পুঁজিবাজারের গভীরতা বাড়ার জন্য বন্ড মার্কেটকে আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করতে বন্ডের আয়ের ওপর কর কমাতে হবে। এতে বিনিয়োগকারীরা বন্ডে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে অর্থের জোগান বাড়বে।
এসএমজে২৪/কা