বাজার বিশ্লেষণ করে লেনদেন করতে হবে বিনিয়োগকারীদের

বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে থাকা হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে। ফলে শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার যৌক্তিক কারণ তেমন কারণ নেই। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে গুটিকয়েক যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সরাসরি পণ্য রপ্তানি করে। এর মধ্যে বস্ত্র খাতের কিছু কোম্পানি আছে। এরই বাইরে ওষুধ ও সিরামিক পণ্য থাকতে পারে, তবে তা খুবই কম। এ অবস্থায় বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
দর পতন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে বেশি।

ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্ক আরোপ ইস্যুতে বিশ্বব্যাপী সব দেশের শেয়ারবাজারে দর পতন অব্যাহত। শুক্রবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুধু এসঅ্যান্ডপি-৫০০ সূচকভুক্ত কোম্পানিগুলোর বাজার মূলধন বা সম্মিলিত শেয়ারদর কমেছে ৫ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার। দর পতনে শুধু ওয়াল স্ট্রিটের বিনিয়োগকারীরাই নন, ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ইলন মাস্কের মালিকানাধীন কোম্পানি টেসলার শেয়ারেরও ব্যাপক দর পতন হয়েছে। তাতে ইলন মাস্কের সম্পদ কমেছে প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার বা প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা।

আমাদের যদি সঠিক উপায়ে পুঁজিবাজার পরিচালিত হয়, তা হলে খুব একটা ক্ষতি হবে বলে মনে হয় না। তবে সতর্কতার সঙ্গে বাজার বিশ্লেষণ করে লেনদেন করতে হবে বিনিয়োগকারীদের।

Tagged