ফাইন্ড এক্স ২ সিরিজে নতুন স্মার্টফোন বাজারে আনবে অপো

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক:

ফাইভ–জি ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন ফাইন্ড এক্স ২ সিরিজ উন্মোচন করল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো। এ সিরিজের আওতায় ফাইন্ড এক্স ২, ফাইন্ড এক্স ২ প্রো এবং ফাইন্ড এক্স ২ প্রো ল্যাম্বরগিনি সংস্করণের তিনটি ফোন বাজারে আনার পাশাপাশি ফাইভ–জি প্রযুক্তির একটি সিপিই ডিভাইসও বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে অপো।

এ সিরিজের স্মার্টফোনগুলোয় থাকছে ৩ কে রেজ্যুলেশনের কিউএইচডি প্লাস ডিসপ্লে, যাতে থাকছে ১২০ হার্টজ আলট্রা হাইরিফ্রেশ রেট, যা নিশ্চিত করবে অসাধারণ অভিজ্ঞতা। সেইসাথে থাকবে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন মোবাইল প্ল্যাটফর্ম। এ সিরিজের স্মার্টফোনগুলোয় থাকবে ৬৫ ওয়াটের সুপার ভোক ২.০ চার্জিং প্রযুক্তি।

নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক আলট্রাভিশন ক্যামেরা সিস্টেম। এতে থাকছে ৪৮ মেগাপিক্সেল ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স, ৪৮ মেগাপিক্সেল আলট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং ১৩ মেগাপিক্সেল পেরিস্কোপ টেলিফটো লেন্সের সমন্বয়।

ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে কাস্টমাইজড আইএমএক্স ৬৮৯ সেন্সর, যাতে থাকছে অল পিক্সেল অমনি-ডিরেকশনাল পিডিএএফ প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে শতভাগ পর্যন্ত পিক্সেল ফোকাসিং করা যাবে।  এটি প্রথম স্মার্টফোন, যা ১২ বিটের ফটো ক্যাপচার সমর্থন করে।

ফাইন্ড এক্স সিরিজের সঙ্গে ল্যাম্বরগিনির  কোলাবোরেশনের ধারাবাহিকতা থাকছে ফাইন্ড এক্স ২ সিরিজেও। এতে সলিড এবং স্মুথ হ্যান্ড ফিল প্রদানে অপো ফাইন্ড এক্স ২ প্রো ল্যাম্বরগিনি সংস্করণে থার্মাল অ্যাবসরপশন গ্লাস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।

ফাইন্ড এক্স ২ সিরিজের পাশাপাশি একটি ফাইভ–জি সিপিই ডিভাইস ও অপো স্মার্টওয়াচও বাজারে আনার ঘোষণা দিয়েছে অপো। এতে ব্যবহার করা হয়েছে থ্রিডি ফ্লেক্সিবল হাইপাবলয়েড ডিসপ্লে, যা সাধারণত ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিল্ট-ইন সেলুলার কানেকটিভিটি এবং হেলথ ট্র্যাকারসমৃদ্ধ স্মার্টওয়াচটিতে আছে অপোর নিজস্ব ডুয়েল চিপ এনডিউরেন্স সিস্টেম এবং ওয়াচ ভোক ফ্ল্যাশ চার্জিং প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে মাত্র ৭৫ মিনিটে ফুল চার্জ এবং ১৫ মিনিটে ৪৬ শতাংশ চার্জ দেওয়া যাবে, যা দিয়ে স্মার্টওয়াচটি ব্যবহার করা যাবে ১৮ ঘণ্টা পর্যন্ত।

অপো ফাইভ–জি সিপিই ডিভাইসে থাকছে স্ন্যাপড্রাগন এক্স ৫৫ মডেম এবং অপোর নিজস্ব প্রযুক্তির ও-রিজার্ভ ফাইভ–জি স্মার্ট অ্যানটেনা এবং ও-মোশন ৩৬০ ডিগ্রি ফাইভ–জি অ্যানটেনা, যার মাধ্যমে ফাইভ–জি নেটওয়ার্কে ডিভাইসটিতে ৭.৫ জিবিপিএস পর্যন্ত গতি পাওয়া যাবে।

প্রাথমিকভাবে ডিভাইসটি পশ্চিম ইউরোপ এবং এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বাজারে পাওয়া যাবে এবং পরবর্তী সময়ে চীনের বাজারে মিলবে।

এসএমজে/২৪/মি

Tagged