পৃথিবীতে আইনের আগে মানুষ এসেছে। মানুষ তার প্রয়োজনে আইন সৃষ্টি করেছে। সেই ধারাবাহিকতাই সমাজ রাষ্ট্র এগিয়ে যাচ্ছে। আজকে আমাদের পুঁজিবাজারের যে সংকট, এটি নানামাত্রায় বেড়েই চলছে। বিশেষ করে এক শ্রেণির দুর্বৃত্ত পুঁজিবাজারকে ঘিরে লুটপাটে ব্যস্ত রয়েছে। ফলে দীর্ঘ সময় ধরে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল অবস্থায় নেই। এসব দুর্বৃত্তদের শায়েস্তা করার জন্য প্রয়োজনে নতুন আইন করুন। তারা যাতে পার পেয়ে যেতে না পারে। এখনই সময়। তাই কালক্ষেপণের সুযোগ নেই।
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য পুঁজির নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ন্যায় ‘পুঁজি বিনিয়োগ আইন’ প্রণয়ন কার্যকর করতে হবে। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা প্রকৃত লভ্যাংশ না পেলে কিংবা কোম্পানিগুলো প্রতারণার আশ্রয় নিলে যেন আইনি সুযোগ নেওয়া যায় তার নিশ্চয়তা থাকতে হবে। বিএসইসিকে শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা বাড়াতে আইনের সময়োপযোগী সংশোধন করতে হবে। না হলে চলমান চিত্র বদলাবে না। অনিয়মকারীরা আরও বেশি বেপরোয় হয়ে ওঠবে।
শেয়ারবাজারের বর্তমান সংকটকালে ব্যাংকগুলোকে সংকট উত্তরণে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ রাইট শেয়ার ছেড়ে সুবিধামতো সময়ে ব্যাংকগুলো শেয়ারবাজার থেকে হাজার-হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। তাই শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগ নিশ্চিত করার কার্যকর ভূমিকা ও উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংককে পলিসি সাপোর্ট দিতে হবে।
সবকিছু শুধু আইন দিয়েই হয় না, মানবিক বিষয়টি অনেক সময় আইনের ঊর্ধ্বে উঠে যায়। কারণ আইন যেহেতু মানুষের জন্যই। বর্তমান ধারাবাহিক দরপতনে বিনিযোগকারীরা নিঃস্ব। সুতরাং মানবিক কারণে ফোর্সসেল আপাতত বন্ধ রাখতে হবে। যাদে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা বাঁচতে পারেন।