পুঁজিবাজার বিপর্যয় নিয়ে সংসদে আলোচনার ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েছেন উল্লেখ করে পুঁজিবাজার একেবারে শুয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ। এ সময় তিনি পুঁজিবাজার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

গত বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে একাদশ জাতীয় সংসদের ৬ষ্ঠ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করছিলেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ওই সাংসদ বলেন, শেয়ারবাজার কেনো এরকম হল? অর্থমন্ত্রী অত্যন্ত সুদক্ষ। শেয়ারবাজার নিয়ে ওনার গভীর চিন্তাভাবনাও আছে। এই মার্কেটের কোথায় কী হচ্ছে এর সম্মুখ ধারণা তার রয়েছে। কারণগুলো আমাদের সবার জানা। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) দুর্বল পচা কোম্পানিগুলো লিস্ট করে বাজারে ছেড়ে দেয়। আর বিনিয়োগকারীরা রাস্তায় নেমে পড়েন। আমরা বলেছিলাম, দুর্বল কোম্পানি যেন লিস্টং না করে। শেয়ারবাজার ধসের একমাত্র কারণ দুর্বল কোম্পানির শেয়ার বাজারে লিস্টিং দেওয়া।

ফিরোজ রশীদ বলেন, আমরা লিস্টিং দেই না। দেয় সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি করেছিলাম। আজ পর্যন্ত কমিশন করা হয় নাই, একটা লোককেও শাস্তির আওতায় আনা হয় নাই। বাজার থেকে মূলধন ৯৫ হাজার কোটি টাকা নেই।

সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশনের দিকে অভিযোগ তুলে বলেন, পচা কোম্পানিগুলো আমাদের কাছে ছেড়ে দেন। শেয়ার মার্কেটে যারা ৩০ বছর ধরে যেতো তাদের পায়ে জুতা নেই। তারা বলছে আমাদের দেখার কি কেউ নেই। সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন জগদল পাথরের মতো বসে আছেন। শুধু লিস্টিং দেওয়াই তাদের কাজ, আর কোনো কাজ নেই।

ফিরোজ রশীদ বলেন, ইস্যু ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। প্রশান্ত হালদার নামে একটা লোক সে নন ব্যাংকিং কিছু প্রতিষ্ঠান করে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। ওনি দেশে নাই পালিয়ে গেছেন। কার জবাব কে দেবে? এজন্য অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, প্রধানমন্ত্রী যদি হস্তক্ষেপ করেন তাহলে শেয়ার মার্কেট আবার ফিরে আসতে পারে।

তার সঙ্গে একমত পোষণ করে বিএনপির দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, মন্ত্রীরা প্রশ্নোত্তর দেন দেশে কোনো বিপর্যয় দেখতে পান না, দেশে কোনো সংকট নাই। এ সমস্ত উত্তর যখন আসে হতভম্ব হয়ে যাই, বিস্মিত হয়ে যাই। গত এক সপ্তাহ যাবৎ পুঁজি বাজারের জন্য মানুষ রাস্তায় শুয়ে পড়েছে, তাদের আজ কাম নাই বিপর্যস্ত লাখ লাখ পরিবার সম্পূর্ণরূপে ধুলায় মিশে যাচ্ছে।

Tagged