একের পর এক মহাধসের বাজারেও কোনো কোনো চক্র লাভবান হয়। ওইসব চক্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে থাকা শেয়ার কম দামে হাতিয়ে নিতে অধিক সক্রিয় থাকে। এ সময় গুজবে আতঙ্কে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। আবার বাজার একটু ঘুরে দাঁড়ালেই শেয়ার বিক্রি করে সটকে পড়ে ওই কতিপয় চক্র। এতে শাঁখের করাতের মতো দুইভাবেই কাটা পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ফলে দরপতন সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য অভিশাপ হলেও, কতিপয়চক্রের জন্য আশির্বাদ। এই ধরনের পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি হতে না পারে, বাজারের স্বার্থে সে দিকে নজর দেয়া প্রয়োজন।
পুঁজিবাজারের লেনদেনে স্বচ্ছতা আনার জন্য সব ধরনের দুর্বলতা ও ফাঁক-ফোকড় বন্ধ হওয়া দরকার। এটি খুব কঠিন কাজ নয়। সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা থাকলে এ কাজ করা সম্ভব। লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ করে বোঝা সম্ভব, কারা দরপতনের বাজারেও লাভবান হচ্ছে। এর মধ্যে কোনো ধরনের অনিয়ম বা আইনি দুর্বলতা রয়েছে কি না। থাকলে সেটি কাটানোর চেষ্টা করা উচিত। তা হলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা অহেতুক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। অন্যদিকে পুঁজিবাজারও অধিকতর স্বচ্ছ হবে।