দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে গত পাঁচ কাযদিবস আগে এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হতে দেখা গেছে। এরপর থেকেই লেনদেনের পাশাপাশি সূচকের পতন অব্যাহত রয়েছে। এর আগে সূচক ও লেনদেনে রেকর্ড উত্থানের পর গত এক বছরই পুঁজিবাজার ছিলো নিন্মমুখী। এবারও রেকর্ড লেনদেনের পরে টানা বাজারে পতন চলছে। এর মধ্য দিয়ে কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে পুঁজিবাজার? কেনো এভাবে সূচক ও লেনদেন কমছে?
এক বছর আগে ডিএসইতে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হতে দেখা গেছে। এরপর টানা একবছরই বিনিয়োগকারীদের মন্দা সময় কাটাতে হয়েছে। লেনদেনের পাশাপাশি সূচক প্রায় সাড়ে সাত হাজার থেকে কমে ছয় হাজারে এসেছে। এরপরও পতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস বেধে দিতে হয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে। যা এখনও চলমান।
গত এক বছরের নিন্মমুখী বাজারে কমেছে বেশিরভাগ শেয়ারের দর। সেই কম দরের শেয়ারগুলোতে বিনিয়োগ করেছে সুযোগ সন্ধানী বিনিয়োগকারীরা। এরপর থেকে বাজার কিছুটা ভালো হতে শুরু করে। এতে করে সূচকের উত্থান হয়েছে ৬০০ পয়েন্টর মতো। এরপরই এক বছর পর ডিএসইতে রেকর্ড লেনদেন হতে দেখা গেছে। সেই লেনেদেনর দিনে সুযোগ সন্ধানী বিনিয়োগকারীরা নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে মুনাফা তুলেছে। এতে করে কমেছে বাজারের তারল্য। যার কারণে বাজারে কমতে শুরু করেছে লেনদেন ও সূচক।
তাহলে কি এক বছর আগের মতো রেকর্ড লেনদেনের পরে আবারও বাজার সূচকের বড় পতন হবে এমন প্রশ্নই তুলছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। আর এই আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে প্রতিটি ব্রোকারেজ হাউজে। এটি বাজারের জন্য মোটেই ভালো লক্ষণ নয়।