গত ১০ বছর পর পুঁজিবাজারে সাহসী পদক্ষেপ নিতে দেখা গেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি)। এরই মধ্যে মিথ্যা তথ্য ও অনিয়মের কারণে ১৩ কোম্পানির আইপিও বাতিল করা হয়েছে। ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে ব্যর্থ হওয়ায় তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির ১৭ পরিচালক পদ হারাতে বসেছেন। এসব পরিচালককে অপসারণ করতে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত আদেশে সই করেছেন বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম। আজ (২০ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি হতে পারে বলে গণমাধ্যমে খবর হয়। এর আগে গত ২ জুলাই তালিকাভুক্ত ২২ কোম্পানির ৬১ জন পরিচালককে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার ধারণে আল্টিমেটাম দেয় বিএসইসি। কমিশনের আল্টিমেটাম পাওয়ার পর ২৫ জন পরিচালক ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছেন। ১৯ জন পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। আর ১৭ জন পরিচালক ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ কিংবা পর্ষদ থেকে পদত্যাগ কোনোটাই করেননি। এখন এই পরিচালকদের অপসারণে উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি।
আমরা চাই, নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই সাহসী পদক্ষেপ অব্যাহত থাক। এতে পুঁজিবাজারের আইনি সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠা পাবে। এর ফলে বাজারের ভিত্তি মজবুত হবে বলেও আমাদের ধারণা।