পুঁজিবাজারে সংকট দূর করতে হলে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে

পুঁজিবাজারে শেয়ার কেনাবেচার নিষিদ্ধ সময়সীমা কমিয়ে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তা-পরিচালকসহ সুবিধাভোগীদের (ইনসাইডার) শেয়ার কেনাবেচার সময় বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এ জন্য সংশ্লিষ্ট আইনি বিধান সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ সংশোধন মন্দা বাজারে শেয়ার কেনাবেচা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে তাদের ধারণা।

অন্যদিকে অনেকে মনে করছেন, প্রস্তাবটি কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে তারল্য প্রবাহ বাড়ানো কমিশন বা উদ্যোক্তা-পরিচালকদের কাজ নয়। উদ্যোক্তা-পরিচালকদের অধিক মাত্রায় শেয়ার লেনদেনে উৎসাহিত করা হলে শেয়ারবাজারে ‘ইনসাইডার ট্রেড’ ও কারসাজিমূলক লেনদেন বাড়বে, বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে।

কমিশনের বিদ্যমান সুবিধাভোগী ব্যবসা নিষিদ্ধকরণ বিধিমালার মাধ্যমে উদ্যোক্তা-পরিচালকসহ সব ইনসাইডারের শেয়ার কেনাবেচা নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির ‘ইনসাইডার’ বা সুবিধাভোগীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির হিসাব বছর শেষ হওয়ার দুই মাস আগে থেকে পরিচালনা পর্ষদের সভায় ওই বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন গ্রহণ না হওয়া পর্যন্ত শেয়ার কেনাবেচা করতে পারবেন না।

বিএসইসি মনে করছে, তারল্য সংকট কমানোর জন্য এ প্রস্তাব। বিদ্যমান আইনের কারণে উদ্যোক্তা-পরিচালকরা বছরের ছয় মাস শেয়ার কেনাবেচা করতে পারেন না। তাদের হাতেই বেশি শেয়ার থাকে বিধায় বাজারে তারল্য প্রবাহ কমে যায়। এ সংকট দূর করতে এ সংশোধন প্রস্তাব। সব বিষয়কে সরলভাবে দেখার সুযোগ নেই। সংকট দূর করতে হলে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

Tagged