দেশের পুঁজিবাজারে বেশ কিছু প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে নিজেদের মধ্যে একের পর এক লেনদেন করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়ায়। তারা ‘টার্গেটেড’ কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন করে, যেখানে কিছু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনেন। এভাবেই ওই কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের সক্রিয় চেহারা দেখানো হয়। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় এমনভাবে কারসাজি করা হয়, যাতে কোম্পানির মূল্যায়ন বোঝা না যায়। এ ধরনের অনিয়ম বলা চলে পুকুরচুরি। এটি বন্ধ করতে পারতে হবে। না হলে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কিছু বড় মিউচুয়াল ফান্ড দখল করেছে। এ ক্ষেত্রে বিএসইসি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিল। খায়রুল কমিশন বন্ধ থাকা মিউচুয়াল ফান্ডের সময়কাল অতিরিক্ত ১০ বছর বর্ধিত করে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে নামে।
শেয়ারবাজারে সূচক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মার্জিন ঋণের অনুপাত বাড়ানোর নিয়ম করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারের উত্থানে ইন্ধন দেওয়া হয়। বিএসইসি প্রায়ই শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিকে উপেক্ষা করে সূচক বজায় রাখার চেষ্টা করে। যখনই দাম কমতে শুরু করে, তখনই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকলাপ শুরু হয়। সবচেয়ে বিতর্কিত ফ্লোর প্রাইস পদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে শেয়ারবাজারের সুনামকে কলঙ্কিত করেছে। এর মাধ্যমে ভালো কোম্পানির লেনদেন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজারে কারসাজিকে উৎসাহিত করা হয়েছে। এ ধরনের মতামত সম্প্রতি অর্থনীতি বিষয় শ্বেতপত্রেও দেওয়া হয়েছে।