পুঁজিবাজারে তহবিল এবং সুশাসন দুটোই প্রয়োজন

দেশের পুঁজিবাজার বর্তমানে যে অবস্থায় রয়েছে, এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। এখানে অর্থের জোগান যেমেন জরুরি, তেমনই প্রয়োজন সুশাসন। সুশাসন নিশ্চিত না করে শুধু তহবিল দেওয়াটা হবে ফুটো কলসে জল ঢালার মতো অবস্থা। তাই কলসের ফুটো বন্ধ করাও প্রয়োজন।

গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল চেয়েছে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। গত ৪ ডিসেম্বর প্রাতিষ্ঠানিক ব্রোকারদের (ব্যাংক ও নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহযোগী প্রতিষ্ঠান) পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত তহবিলের একটি রূপরেখা অর্থমন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে।

লাখ-লাখ বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরও একমত- পুঁজিবাজারে এই মুর্হূতে তারল্য প্রয়োজন। কারণ প্রায় নয় বছরের দরপতনে বাজার ক্ষতিগ্রস্ত। কিন্তু কথা হচ্ছে, বাজার কেনো এই অবস্থায় গেলো, এর জন্য দায়ী কারা? এসব প্রশ্নের মীমাংসা না করে শুধু নতুন নতুন উদ্যোগ নিলেই কাজ হবে না। হাজার হাজার কোটি টাকা নাই হয়ে গেলো, সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পোর্টফোলিও খালি হয়ে গেলো। এর জন্য যারা দায়ী তাদের কিছুই হবে না! পৃথিবীর কোথাও কি এ ধরনের নজির আছে? আমরা তো দেখি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় পুঁজিবাজারে অনিয়মের জন্য দায়ীদের কারাগারে ঢুকানো হয়। আমাদের দেশে কোনো এটি হচ্ছে না? কেনো স্বার্থান্বেষী মহল বারবার পার পেয়ে যাচ্ছে? লাখ লাখ মানুষের এসব প্রশ্ন সুরাহা না করে বাজারের উন্নতি কোনোভাবেই সম্ভব বলে মনে হয় না। তাই পুঁজিবাজারে অর্থ জোগানের পাশাপাশি সুশাসন দরকার।

Tagged