এখন ডিজিটাল যুগ। গুজব ছড়ানোর কাজটি আরও সহজ হয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দিলেই ভাইরাল হয়ে যায়। এতে মুহূর্তের মধ্যে যেকোনো ধরনের গুজব ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে। তাই ‘যেমন কুমির তেমন মুগর’ হওয়া প্রয়োজন। গুজব প্রতিরোধেও তেমনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
সামাজিক যোযোগমাধ্যম এখন অনেক শক্তিশালী। এর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো কিংবা বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। এই বাস্তবতার মধ্যেই প্রতিকার খুঁজে বের করতে হবে। এছাড়া যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অনিয়মকারীরা শক্তি অজর্ন করে। পুঁজিবাজার কর্তৃপক্ষ এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থাকেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়েই প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে।
প্রথমে চিহ্নিত করতে হবে গুজব কারা ছড়ায়, তাদের পেছনে উদ্দেশ্যটা কী? তারপর তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আইন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এ কাজটি করার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে অনেক সময়ই গাফিলতি দেখা যায়। আইনের সঠিক প্রয়োগ হয় না। এতে অপরাধিরা পার পেয়ে যায়। গত বুধবার কোনো কারণ ছাড়াই ৬৯ পয়েন্ট সূচকের পতন হয়েছে ডিএসইতে। অনেকে মনে করেন, গুজবের কারণে এটি হয়েছি। তাদের মতে, পুঁজিবাজারে কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে গুজব সৃষ্টি করা হয়। এতেই শেষ দিকে বাজারে বড় ধরনের দরপতন হয়। আমাদের ভাষ্য, গুজব প্রতিরোধের কাজটি দ্রুত করা হোক।