পুঁজিবাজার ঘিরে খেলোয়াড়া বসে নেই। তাদের একের পর এক কৌশলের কাছে মার খাচ্ছে সব ধরনের পদক্ষেপ। ভালো মৌলভিত্তির শেয়ারের ক্রেতা নেই। ডিভিডেন্ডে চমক থাকলেও কোম্পানিগুলোর শেয়ার ফ্লোর প্রাইসে গড়াগড়ি খাচ্ছে। কিন্তু বন্ধ বা উৎপাদনে না থাকা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ছে অস্বাভাবিকভাবে। লেনদেনেও এগিয়ে অতিদুর্বল এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত বন্ধ কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে চালু করার এবং ওইসব কোম্পনির অনিয়ম ও দুর্নীতিরোধে পর্ষদ পুনর্গঠন করার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বিএসইসির সেই ইতিবাচক উদ্যোগকে ঘিরেই এখন কারসাজি চক্র সক্রিয়।
তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিএসইসি। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে বছরের বছর বন্ধ থাকা কোম্পানি চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং সেসব কোম্পানির পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে।
২০২০ সালে পুঁজিবাজার যখন মুমূর্ষু অবস্থায়, তখন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় বর্তমান কমিশন। পরে অন্যান্য উদ্যোগের পাশাপাশি বন্ধ বা লোকসানি কোম্পানি সচল ও পর্ষদ পুনর্গঠনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এতে সিংহভাগ কোম্পানির ক্ষেত্রে আশাতীত ফলও পাওয়া যায়।
এদিকে নিয়ন্ত্রক সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল মহৎ। কিন্তু কারসাজি চক্র এসব পরিবর্তনকে ইস্যু বানিয়ে শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়াচ্ছে। যা পরে বিনিয়োগকারীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে কেটে পড়ছে। ফলে বাজারের অবস্থা ভালো হয়নি। উল্টে লাভবান হয়েছে কারসাজি চক্র।