জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পতনের বৃত্ত ভাঙতে শুরু করে দেশের দুই পুঁজিবাজার। আগস্ট মাসের প্রথম থেকেই পুঁজিবাজার গতি ফিরতে শুরু করেছে। প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে সূচক ও লেনদেন। টানা দরপতনের পর পুঁজিবাজার ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরে আসায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি দেখা যাচ্ছে। তবে আত্মতুষ্টির মতো পরিস্থিতি এখনই সৃষ্টি হয়নি।
উন্নতবিশ্বের পুঁজিবাজার থেকে আমাদের অনেককিছু শেখার আছে। সেখানেও পুঁজিবাজারে সংকট তৈরি হয়। দরপতন হয়। কখনো কখনো অর্থনিতক পরিস্থিতির কারণে মন্দা কিছুটা দীর্ঘস্থায়ী হয়। তবে একটা সময় পর বাজার তার স্বাভাবিক নিয়মেই ঘুরে দাঁড়ায়। এর জন্য বারবার সরকারের হস্তক্ষেপ চাওয়ার দরকার হয় না, দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামার দরকার হয় না। কিন্তু আমাদের দেশের পুঁজিবাজারের বাস্তবতা ভিন্ন। এখানে স্বাভাবিকভাবে অনেককিছুই হয় না। নানা ধরনের প্রভাব-পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে বাজার ওঠা-নামা করে। গুজব-কারসাজি লেগেই থাকে। এসব কারণে বর্তমান পুঁজিবাজারের যেটুকু ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে, এটিই যথেষ্ট নয়। আরও অনেক দূর যেতে হবে। বাজার থেকে প্রচুর অর্থ বের হয়ে গেছে। এখন একটা সময় পর্যন্ত বাজারে অর্থ ঢোকা অব্যাহত থাকতে হবে। একই সঙ্গে নিশ্চিত করতে হবে বাজারের স্বাভাবিক গতিশীলতা।